খালেদা জিয়া
অবয়ব
বেগম খালেদা জিয়া (জন্ম: আগস্ট ১৫, ১৯৪৫), জন্মগত নাম খালেদা খানম পুতুল, একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রূপে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মাঝে দ্বিতীয় মহিলা সরকারপ্রধান (বেনজির ভুট্টোর পর)। তার স্বামী জিয়াউর রহমানের শাসনকালে তিনি ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও দলনেত্রী, যা তার স্বামী জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- আমার এই স্বজনহীন জীবনে দেশবাসীই আমার স্বজন। আল্লাহ আমার একমাত্র ভরসা। আমি যেমন থাকি, যেখানেই থাকি, যতক্ষণ বেঁচে থাকব দেশবাসীকে ছেড়ে যাব না।
- সুবিচার নিয়ে সংশয় খালেদা জিয়ার | কালেরকণ্ঠ ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
- এদের পচতে আরো একটু সময় দিতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। এই আওয়ামী লীগ একদিন পঁচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াবে। ... আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এই সরকার জনবিক্ষোভে ‘করুণভাবে’ বিদায় নেবে। সবাই যখন এদের বিরুদ্ধে ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে, তখন তারা জনগণের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে।
- তিনি (শেখ মুজিব) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হত না।
- ছাত্র, তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণরা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মেধা, যোগ্যতা জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ি তুলতে হবে। শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সকল ধর্ম গোত্রের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শান্তি, প্রগতি আর সাম্যের ভিত্তিতে আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে। আসুন আমরা তরুণদের হাত শক্তিশালী করি। ধ্বংস নয় প্রতিশোধ নয় , প্রতিহিংসা নয় ভালোবাসা শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি।
- হাসপাতাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তব্য দিলেন খালেদা জিয়া। ঢাকা টাইমস। ০৭ আগস্ট ২০২৪।
- তখন আমার নামে ছিল ৪টা মামলা। আর হাসিনার নামে ছিল ১৫টা মামলা। ক্ষমতায় আসার পর তাঁর ১৫টি মামলা হঠাৎ শেষ হয়ে গেল। কিন্তু আমার ৪টা বাড়তে বাড়তে এখন ৩৬টি। তাদের নেতা-কর্মীদের সাড়ে ৭ হাজার মামলা তুলে নিয়েছে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে।
- খালেদার সাজা হলে শক্ত আন্দোলন | প্রথম আলো ৩০ অক্টোবর ২০১৮।
- আন্দোলনের বাতাস শুরু হলে চুল তো থাকবেই না, অস্তিত্বেও টান পড়তে পারে। জনগণের আন্দোলনের বাতাসে চুল এলোমেলো হয়ে যাবে। দিশেহারা হয়ে যাবেন।
- সংবিধান থেকে একচুলও নড়বো না: শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ১৯ আগস্ট ২০১৩। প্রথম আলো।
- মুক্তিযুদ্ধকালে সত্যিকারে যারা সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করেছিল বিএনপিও তাদের বিচার চায়। কিন্তু সেটি হতে হবে আন্তর্জাতিক মানসম্মত, স্বচ্ছ।
- একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সবাইকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে এ কথা বলেন।
- বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।
- পদ্মাসেতু জোড়া তালি দিয়ে বানানো হচ্ছে, এ সেতুতে কেউ উঠবেন না।
- দেশে আজ সত্যিকারের সংসদ নেই। নেই বিরোধী দল। শাসকদের কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। সশস্ত্র বাহিনীর সর্ম্পকে বৈরী প্রচারণা ও ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাড় করানো হয়েছে।[উৎস প্রয়োজন]
- আমি সগৌরবে দেশবাসীকে জানাতে চাই, আমি কোনও দুর্নীতি করিনি, সঠিক বিচার হলে আমি বেকসুর খালাস পাব।[উৎস প্রয়োজন]
- ওদের হাতে গোলামীর জিঞ্জির আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা।[উৎস প্রয়োজন]
খালেদা জিয়াকে নিয়ে উক্তি
[সম্পাদনা]- এদেশে লক্ষ কোটি টাকা লোপাট আর পাচার হয়। বহু চোর থাকে মহাদাপটে। জিয়ার নামে ট্রাষ্টে দুকোটি টাকা বেড়ে চার-পাচ কোটি টাকা হয়েছে। তবু খালেদা জিয়া শাস্তি পেয়েছেন। সেটিও মূলত তার কর্মর্তাদের গাফলতি আর ভুলের কারণে।
এক টাকাও আত্নসাৎ করেননি খালেদা জিয়া। তবু তার নামে অপপ্রচার হয় এতিমের টাকা মেরে দেয়ার। কিন্তু কোন অপপ্রচার মুছতে পারবে না তার অতুলনীয় জনপ্রিয়তা, মুছে দিতে পারবে না তার আত্নত্যাগ।- আসিফ নজরুলের ফেসবুক পোস্ট। নয়া দিগন্ত। ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় খালেদা জিয়া সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে খালেদা জিয়া সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।