জগদানন্দ রায়

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
জগদানন্দ রায়

জগদানন্দ রায় (১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯-২৫ জুন ১৯৩৩) ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বাঙালি বিজ্ঞান লেখক। বিজ্ঞান লেখার পাশাপাশি তিনি কল্পবিজ্ঞানেরও লেখক ছিলেন। তার রচনাগুলি প্রাথমিকভাবে ছোটদের জন্য লেখা হয়েছিল। তিনি বিজ্ঞানের উপর অনেক বই লিখেছেন যেমন প্রকৃতি পরিচয় (১৩১৮), আচার্য জগদীশচন্দ্রের আবিষ্কার (১৩১৯), বৈজ্ঞানিকী (১৩২০), প্রাকৃতিকী (১৩২১), জ্ঞান-সোপান (১৩২১), গ্রহ-নক্ষত্র (১৩২২), পোকা-মাকড় (১৩২৬), মাছ-বেঙ-সাপ (১৩৩০), বাংলার পাখী (১৩৩১), শব্দ (১৩৩১) প্রভৃতি।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • প্রত্যেক পূর্ণিমায় চাঁদ আকাশের কোন্ নক্ষত্র-মণ্ডলে থাকে, আমাদের পূর্ব্বপুরুষেরা ভাল করিয়া দেখিতেন এবং সেই নক্ষত্রের নামে মাসের নাম দিতেন। বৎসরের যে মাসটিকে আমরা বৈশাখ বলি, সেই সময়ে চাঁদ বিশাখা নক্ষত্রে আসিয়া পূর্ণিমা দেখাইত; তাই ঐ মাসের নাম বৈশাখ হইয়াছিল। ইহার পরের পূর্ণিমা জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে হইত, তাই বৈশাখের পরের মাসটির নাম জ্যৈষ্ঠ হইয়াছিল।
    • আমাদের জ্যোতিষ, গ্রহ-নক্ষত্র- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- এলাহাবাদ (প্রয়াগরাজ), প্রকাশসাল- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩২২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪৯
  • প্রজাপতির কথা তোমাদিগকে আগেই কিছু বলিয়াছি এবং তাহার ছবিও দিয়াছি। ইহারা কখনই রাত্রিতে বাহির হয় না; কেবল দিনের বেলাতেই চারিখানি সুন্দর ডানা মেলিয়া ফুলে ফুলে ঘুরিয়া বেড়ায়। ইহাদের শত্রুও বড় অল্প। যে-সকল প্রজাপতির গায়ে নানা প্রকার রঙ্‌চঙ্ থাকে, তাহাদিগকে পাখী বা অন্য প্রাণীতে খায় না; বোধ হয় ইহাদের মাংস মুখে ভালো লাগে না। প্রজাপতিরা বেশি দিন বাঁচে না, দুই চারি দিন মধু খাইয়া তাহারা মারা যায়।
    • প্রজাপতি, পোকা-মাকড়- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭৮
  • নক্ষত্রদের জন্মের কথা এখনো বলা হয় নাই। জন্ম ও মৃত্যু বড় মজার ব্যাপার; ইহারা ঠিক্ তালে তালে পা ফেলিয়া পাশাপাশি না চলিলে সংসার টিকিয়া থাকে না।
    • নক্ষত্রদের জন্ম, গ্রহ-নক্ষত্র- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, প্রকাশস্থান- এলাহাবাদ (প্রয়াগরাজ), প্রকাশসাল- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩২২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২১৫


বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

উইকিসংকলন
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: