বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রজাপতি

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
প্রজাপতি

প্রজাপতি এক ধরনের পতঙ্গ। জীববিজ্ঞানীদের ভাষায় প্রজাপতি লেপিডোপ্টেরা বর্গের অন্তর্গত এক ধরনের প্রাণী। এদের শরীর উজ্জ্বল রঙের এবং এরা দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বেশিরভাগ প্রজাতির প্রজাপতি দিবাচর বলে এরা সহজেই আমাদের নজর কাড়ে। সারা বিশ্বে প্রায় ১৭,৫০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। প্রকৃতির সবচেয়ে রঙিন পতঙ্গ প্রজাপতি। নানা রঙে রাঙানো প্রজাপতির ডানা তাদের মূল সৌন্দর্যের আধার। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হিসেবে বিবেচিত হওয়া প্রজাপতিরা সাধারণত খুব বেশিদিন বাঁচে না। একটি পূর্ণবয়স্ক প্রজাপতির জীবন মাত্র এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • কালে উঠেই দেখি
    প্রজাপতি এ কি
    আমার লেখার ঘরে,
    শেলফের পরে
    মেলেছে নিস্পন্দ দুটি ডানা,—
    রেশমি সবুজ রং তার পরে সাদা রেখা টানা।
    • প্রজাপতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নবজাতক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৩
  • প্রজাপতি
    চপল অতি, হাল‍্কা ডানা তার,—
    হাওয়ার তোড়ে
    ছট্‌কে পড়ে, পথ মেলে না আর।
    • ঘূর্নি হাওয়ার গান, সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১০৯
  • প্রজাপতির কথা তোমাদিগকে আগেই কিছু বলিয়াছি এবং তাহার ছবিও দিয়াছি। ইহারা কখনই রাত্রিতে বাহির হয় না; কেবল দিনের বেলাতেই চারিখানি সুন্দর ডানা মেলিয়া ফুলে ফুলে ঘুরিয়া বেড়ায়। ইহাদের শত্রুও বড় অল্প। যে-সকল প্রজাপতির গায়ে নানা প্রকার রঙ্‌চঙ্ থাকে, তাহাদিগকে পাখী বা অন্য প্রাণীতে খায় না; বোধ হয় ইহাদের মাংস মুখে ভালো লাগে না। প্রজাপতিরা বেশি দিন বাঁচে না, দুই চারি দিন মধু খাইয়া তাহারা মারা যায়।
    • প্রজাপতি- জগদানন্দ রায়, পোকা-মাকড়- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৭৮
  • গভীর কালো মেঘের পরে রঙিন ধনু বাঁকা,
    রঙের তুলি বুলিয়ে মেঘে খিলান যেন আঁকা!
    সবুজ ঘাসে রোদের পাশে আলোর কেরামতি,
    রঙিন বেশে, রঙিন ফুলে রঙিন প্রজাপতি!
    • সুকুমার রায়, অন্ধ মেয়ে, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৪৯
  • প্রজাপতি যেমন পুষ্প হইতে প্রয়োজনানুযায়ী মধুটুকুমাত্র গ্রহণ করে, ফুলের সুগন্ধ, শোভা ও দলগুলি বিনষ্ট করে না, তোমরাও তেমনি অন্যকে পীড়িত ও বিনষ্ট না করিয়া আপনাদের জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিবে।
    • বুদ্ধের জীবন ও বাণী- শরৎকুমার রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩২১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৯
  • বন-মালতীর বাস ছুটেছে,
    ঝুমকোলতায় ফুল ফুটেছে,
    তারই লতায় প্রজাপতি নাচছে ঝুলে ঝুলে।
    • সোনার ছবি, সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৯১

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]