নৌকা

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
মালদ্বীপের নৌকা

নৌকা এক ধরনের জলযান যা জাহাজের থেকে আকারে ছোট। ভারত, বাংলাদেশ প্রভৃতি বিশ্বের অনেক দেশে নৌকা এখনও স্থানীয় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। এছাড়া পণ্য পরিবহনের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষাকালে বিভিন্ন দেশে নৌকার ব্যবহার বেশি দেখা যায়। নৌকার চালককে বলা হয় মাঝি। নৌকা প্রধানত কাঠ দিয়ে তৈরী। মাছ ধরার ডিঙ্গি নৌকা আকারে ছোট হয়, তবে পণ্য পরিবহনের নৌকা আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই নৌকার ব্যবহার চলে আসছে বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন। গঠনশৈলী ও পরিবহনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের নৌকার প্রচলন রয়েছে।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • আশ্বিনেতে পুজোর ছুটি হবে,
    মেলা বসবে গাজন-তলার হাটে,
    বাবার নৌকো কত দুরের থেকে
    লাগবে এসে বাবুগঞ্জের ঘাটে।
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - ছোটোবড়ো, শিশু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ (১৪২৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৯
  • যাচ্ছে বধু শ্বশুরঘরে
    জলের পথে নৌকা চ’ড়ে,
    অশ্রু ঝরে ওই বিরলে;
    নৌকা চলে
    নৌকা চলে।
  • সমুদ্রে ব্যবহারের জন্য অনেক জাহাজের সঙ্গে বড়ো-বড়ো নৌকা লওয়া হয়। হঠাৎ জাহাজের কোনো বিপদ হইলে লোকেরা জাহাজ ছাড়িয়া নৌকায় করিয়া সমুদ্রে নামে। এই সমস্ত নৌকাকে life boat অর্থাৎ 'প্রাণ-বাঁচানো নৌকা’ বলে। জাহাজ বেশিরকম জখম হইলে অনেক সময় নৌকা নামানো অসম্ভব হয়। এই অসুবিধা দূর করিবার জন্য বার্থ সাহেব একরকম হালকা নৌকা বানাইয়াছেন, তাহাকে মুড়িয়া রাখা যায় এবং জলে ফেলিয়া দিলে আপনি ভাসিতে থাকে। নাবিকেরা তখন তাহার আশেপাশে সাঁতরাইয়া জলের মধ্যেই নৌকা খাটাইয়া ফেলে।
    • সুকুমার রায় - নৌকা, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৩৯
  • সহসা নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া ঘাটের উপর হইতে বামাকণ্ঠে উচ্চারিত হইল, “ঘাটে কাহার নৌকা? নৌকা শীঘ্র সরাইয়া লইয়া যাও।” শব্দ শুনিয়া ধীবরের নিদ্রা ভঙ্গ হইল, যুবকের গান থামিয়া গেল। ধীবর জিজ্ঞাসা করিল,“কে?” যে নৌকা সরাইতে বলিয়াছিল, সে পুনরায় বলিল, “তোমরা কেমন লোক গো? নৌকা সরাইতে বলিতেছি সরাও না কেন? মাঠাকুরাণীরা যে ঘাটে যাইতে পারিতেছেন না?” ধীবর ক্রুদ্ধ হইয়া কহিল, “নৌকা সরিবে না, তোর মাঠাকুরাণীদিগকে অন্য ঘাটে যাইতে বল্‌।”
    • রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ময়ূখ - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশক- গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, কলকাতা, প্রকাশসাল - ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দ (১৩২৩ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১-২

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]