মঙ্গল গ্রহ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
২০০৭ সালে তোলা মঙ্গল গ্রহের স্বাভাবিক রঙে গৃহীত ছবি

মঙ্গল গ্রহ হলো সূর্য থেকে চতুর্থ দূরবর্তী গ্রহ এবং বুধের পরেই সৌরজগতের দ্বিতীয়-ক্ষুদ্রতম গ্রহ। ইংরেজি ভাষায় মঙ্গল গ্রহ রোমান পুরাণের যুদ্ধদেবতা মার্সের নাম বহন করে এবং প্রায়শই এই গ্রহটিকে “লাল গ্রহ” নামে অভিহিত করা হয়। এর জন্য দায়ী এই গ্রহের পৃষ্ঠতলে ফেরিক অক্সাইডের আধিক্য, যার ফলে গ্রহটিকে লালচে রঙের দেখায় এবং খালি চোখে দৃশ্যমান মহাজাগতিক বস্তুগুলির মধ্যে এই গ্রহটিকে স্বতন্ত্রভাবে দর্শনীয় করে তোলে। মঙ্গল একটি শিলাময় গ্রহ এবং এর বায়ুমণ্ডল ঘনত্বহীন। এই গ্রহের পৃষ্ঠভাগের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে যেমন চাঁদের মতো অভিঘাত খাদ দেখা যায়, তেমনি পৃথিবীর মতো উপত্যকা, মরুভূমি ও মেরুস্থ হিমছত্রও চোখে পড়ে।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • মঙ্গল হলো সেই জায়গা যেখানে পৌঁছানোর অপেক্ষায় আছি আমরা।
    • বাজ অলড্রিন
  • ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রলোক, আমার একটি গুরুতর ঘোষণা আছে। অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, আজ রাতে মঙ্গল গ্রহ থেকে নিউ জার্সিতে অবতরণকারী অদ্ভুত প্রাণীরা হামলা করবে।
    • ওরসন ওয়েলস , দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস (সম্প্রচার ৩০ অক্টোবর, ১৯৩৮)
  • সৌরজগতে আটটি "গ্রহ" রয়েছে। বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। এছাড়াও"বামন গ্রহ" নামে একটি নতুন স্বতন্ত্র শ্রেণী বিদ্যমান। "গ্রহ" এবং "বামন গ্রহ" দুটি পৃথক শ্রেণীর বস্তু। "বামন গ্রহ" বিভাগের প্রথম সদস্যরা হলেন সেরেস , প্লুটো এবং ২০০৩ ইউবি৩১৩ (অস্থায়ী নাম)।
    • ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (IAU) প্রদত্ত সংজ্ঞা : আইএইউ০৬০৩— নিউজ রিলিজ , ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন, ২০০৬
  • সূর্যের টানে মঙ্গলগ্রহের ঠিক যে-পথ বেয়ে চলা উচিত ছিল, তার থেকে ওর চাল একটু তফাত। পৃথিবীর টানে ওর এই দশা। ওজন অনুসারে টানের জোরে পৃথিবী মঙ্গলগ্রহকে কতখানি টলিয়েছে সেইটে হিসেব করে পৃথিবীর ওজন ঠিক হয়েছে। এইসূত্রে সূর্যের দূরত্বও ধরা পড়ল। কেননা মঙ্গলকে সূর্যও টানছে পৃথিবীও টানছে, সূর্য কতটা পরিমাণে দূরে থাকলে দুই টানে কাটাকাটি হয়ে মঙ্গলের এইটুকু বিচলিত হওয়া সম্ভব সেটা গণনা করে বের করা যেতে পারে। মঙ্গলগ্রহ বিশেষ বড়ো গ্রহ নয়, তার ওজনও অপেক্ষাকৃত কম সুতরাং সেই অনুসারে টানের জোর বেশি না হওয়াতে তার হাওয়া খোওয়াবার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সূর্য থেকে যথেষ্ট দূরে আছে বলে এতটা তাপ পায় না যাতে হাওয়ার অণু গরমে উধাও হয়ে চলে যেতে পারে। মঙ্গলগ্রহের হাওয়ায় অক্সিজেন সন্ধানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সামান্য কিছু থাকতে পারে। মঙ্গলগ্রহের লাল রঙে অনুমান হয় সেখানকার পাথরগুলো অক্সিজেনের সংযোগে সম্পূর্ণ মরচে-পড়া হয়ে গেছে।
    • গ্রহলোক, বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮৯-৯০

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]