নেপচুন গ্রহ

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
১৯৮৯ সালে নাসার ভয়েজার ২ থেকে তোলা নেপচুন গ্রহের চিত্র

নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ এবং সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ যা রোমান সমুদ্র দেবতা নেপচুনের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে। নেপচুন পরিধিতে চতুর্থ এবং ভরে তৃতীয় সর্ববৃহৎ গ্রহ;পৃথিবীর ভরের ১৭ গুণ। গ্রহটি প্রতি ১৬৪.৮ বছরে একবার ৩০৩০ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক একক (৪.৫ মিলিয়ন কিমি; ২.৮ বিলিয়ন মাইল) দূরত্বে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। ইউরেনাসের কক্ষপথে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন আলেকসিস বুভার্ডকে অনুমান করতে বাধ্য করেছিল যে এর কক্ষপথটি কোনও অজানা গ্রহের দ্বারা মহাকর্ষীয় চঞ্চলতার বিষয়। বোভার্ডের মৃত্যুর পরে নেপচুনের অবস্থানটি তার পর্যবেক্ষণ থেকে স্বাধীনভাবে জন কাউচ অ্যাডামস এবং আরবাইন লে ভারিয়ারের দ্বারা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে নেপচুনকে ২ সেপ্টেম্বর ১৮৪৬ সালে লে টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর বৃহত্তম চাঁদ, ত্রিটন খুব শীঘ্রই আবিষ্কৃত হয়েছিল, যদিও গ্রহের অবশিষ্ট ১৩ টি চাঁদ কোনওটিই বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত দূরবীণে পাওয়া যায় নি।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • সৌরজগতে আটটি "গ্রহ" রয়েছে। বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। এছাড়াও"বামন গ্রহ" নামে একটি নতুন স্বতন্ত্র শ্রেণী বিদ্যমান। "গ্রহ" এবং "বামন গ্রহ" দুটি পৃথক শ্রেণীর বস্তু। "বামন গ্রহ" বিভাগের প্রথম সদস্যরা হলেন সেরেস , প্লুটো এবং ২০০৩ ইউবি৩১৩ (অস্থায়ী নাম)।
    • ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (IAU) প্রদত্ত সংজ্ঞা : আইএইউ০৬০৩— নিউজ রিলিজ , ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন, ২০০৬
  • য়ুরেনস আবিষ্কারের কিছুকাল পরেই পণ্ডিতেরা য়ুরেনসের বেহিসাবি চলন দেখে স্থির করলেন, এ গ্রহ পথের নিয়ম ভেঙেছে আর একটা কোনো গ্রহের টানে। খুঁজতে খুঁজতে বেরোল সেই গ্রহ। তার নামকরণ হোলে নেপচুন।
    সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২৭৯ কোটি ৩৫ লক্ষ মাইল, প্রায় ১৬৪ বছরে এ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এর ব্যাস প্রায় ৩৩,০০০ মাইল, য়ুরেনসের চেয়ে কিছু বড়। দুরবীনে শুধু ছোটো একটি সবুজ থালার মতো দেখায়।
    • গ্রহলোক, বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১০১-১০২
  • ইউরেনসের পরেই নেপ্‌চুন্ গ্রহ। ইহার পরে আর কোনো গ্রহ আছে কি না, আমাদের জানা নাই। কাজেই নেপ্‌চুন্ সূর্য্য-জগতের সীমায় আছে বলিতে হয়। সে যেন প্রহরীর মত সূর্য্যের রাজ্যের চারিদিকে পাহারা দিতেছে।
    “নেপ্‌চুন্” এই নামটি শুনিয়াই বুঝিতেছ, আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা ইহার কথা জানিতেন না। জানা থাকিলে আমাদের প্রাচীন পুঁথিপত্রে ইহার একটা সংস্কৃত নাম লেখা থাকিত। নেপ্‌চুন্‌কে পঁচাত্তর বৎসর পূর্ব্বে ইয়ুরোপের জ্যোতিষীরা আবিষ্কার করিয়াছিলেন। কাজেই আমাদের হাজার দু’হাজার বৎসর পূর্ব্বেকার পুঁথিতে কেমন করিয়া ইহার নাম থাকিবে? যে-সব জ্যোতিষী পঁচাত্তর বৎসর পূর্ব্বে মারা গিয়াছেন, তাঁহারাও নেপ্‌চুনের কথা জানিতেন না।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]