মাছি
অবয়ব
মাছি ডিপ্টেরা বর্গভুক্ত একটি পতঙ্গ, যার মেসোথোরাক্সে এক জোড়া পাখা আছে আর মেটাথোরাক্সে পেছনের পাখা হতে উদ্ভূত এক জোড়া হ্যালটেয়ার (halteres) আছে। মাছির এক জোড়া পাখাই একে মাছি জাতীয় অন্যান্য পতঙ্গ (যেমন: ফড়িং, ঘাসফড়িং, প্রজাপতি ইত্যাদি) থেকে আলাদা করেছে।
উক্তি
[সম্পাদনা]- মাছির চোখ এড়ান খুবই শক্ত। ঐ যে তাহার লালমত মাথাটি দেখিতে পাও ঐ সমস্ত মাথাটি তাহার চোখ। একটি নয়, দুটি নয়, হাজার হাজার চোখ। অনুবীক্ষণ দিয়া বেশ বড় করিয়া দেখিলে মনে হয়, মাথাটি যেন অতি সূক্ষ জাল দিয়া মোড়া। আরো বড় করিয়া দেখিলে দেখা যায় সেই জালের প্রত্যেকটি ফোকর এক একটি আস্ত চোখ।
- মাছি। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১২৮। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- মাছি উড়িবার সময় প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ছয়শত বার ডানা ঝাপটায়। খুব ব্যস্ত হইলে এক সেকেন্ডে সে প্রায় বিশ পচিশ হাত উড়িয়া যাইতে পারে। অতটুকু প্রাণীর পক্ষে ইহা বড় সামান্য কথা নয়। মাছিটাকে যদি একটা ঘোড়ার মতো কল্পনা করা যায় তাহা হইলে তাহার দৌঁড়টি হয় যেন কামানের গোলার মতো।
- মাছি। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১২৯। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- মাছির সমস্ত শরীরটাই যেন একটা প্রকান্ড ফুসফুস। তাহার শরীরের দুপাশে ছোট ছোট ফুটা থাকে-সেই- গুলিই তাহার নিশ্বাস লইবার ছিদ্র বা নাক। শরীরের ভিতরে সরু সরু শিরার মতো অসংখ্য প্যাঁচান নল তাহার গায়ের রক্তের মধ্যে ডুবান রহিয়াছে। সেই নলের ভিতর দিয়া বাতাস চলে আর রক্ত তাজা হইয়া উঠে।
- মাছি। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১২৯। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
- ছারপোকা এবং মশা কামড়াইতে জানে, মাছির সে বিদ্যা নাই। সেইজন্য মানুষে ছারপোকা ও মশা তাড়াইতে যত ব্যস্ত হয়, মাছির ভয়ে ততটা ব্যস্ত হয় না। কিন্তু উৎপাত হিসাবে মাছিকে কাহারও চাইতে কম বলা চলে না।
- মাছি। সুকুমার সাহিত্যসমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড)। সম্পাদক, সত্যজিৎ রায় ও পার্থ বসু। আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড। পৃষ্ঠা ১৩০। আইএসবিএন ৮১৭০৬৬১৭৩০।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় মাছি সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে মাছি শব্দটি খুঁজুন।