শরৎচন্দ্র বসু
অবয়ব
শরৎচন্দ্র বসু (জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর,১৮৮৯ — মৃত্যু: ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০) ছিলেন একজন বাঙালি জাতীয়তাবাদী, পেশায় ব্যারিস্টার এবং ভারতের স্বাধীনতা কর্মী। তিনি জানকীনাথ বসুর ছেলে এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মেজ দাদা। তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করেন ও পরবর্তীতে একটি অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করে গেছেন। তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের একজন নৈতিক সমর্থক ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হয়ে আদালতে বিনা পারিশ্রমিকে সওয়াল করতেন। তার স্ত্রী বিভাবতী বসুও গান্ধীবাদী আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগী ভূমিকা নেন।
উক্তি
[সম্পাদনা]- প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ হয়তো ভেবেছেন, বিভক্ত বাংলার হিন্দু-বাঙালি হয়তো স্বাধীনভাবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ পাবে, কিন্তু এ স্বপ্ন মরীচিকা মাত্র। আইন পরিষদের হিন্দু সদস্যদের ও বাংলা কংগ্রেসের স্বাধীন মত ব্যক্ত করার অধিকার দিলে তাদের অধিকাংশ বাংলা বিভাগের রোয়েদাদ প্রত্যাখ্যান করতেন। বাঙালি হিন্দুর বুকের উপর হুকুম নামার পিস্তল ধরে মৃত্যু পরোয়ানা সই করে নেয়া হচ্ছে অথচ হিন্দু বাংলা টু শব্দটি করতে পারছেনা। সুরেন্দ্রনাথ, দেশবন্ধু, দেশপ্রিয় ও নেতাজীর জাতির কি সত্যিই এমনি অধঃপতন হয়েছে।
- ১৯৪৭ সালে জাগরণ পত্রিকায় শরৎচন্দ্র বসু এটি লিখেছিলেন।"বাংলা যেভাবে ভাগ হলো" - মুহাম্মদ আসাদ। কৃষ্ণচূড়া প্রকাশনী, প্রকাশকাল-২০০৯, পৃষ্ঠা-৫
- ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন চলবে না। তার চেয়ে বরং ভাষার ভিত্তিতে তোমরা বাংলার গঠন করো।
- শরৎচন্দ্র বসু [১]
- ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনপ্রণালী এই অঞ্চলের মানুষের বেশিরভাগ একই। অথচ ধর্মের নামে তাঁদের ভাগ করে দেওয়া হবে! এই ভাগ-বাঁটোয়ারার ফলে বাংলার কৃষি, অর্থনীতি, শিল্প সবই কমজোরি হয়ে যাবে। সব ক্ষেত্রেই বাংলা পিছিয়ে পড়বে।
- শরৎচন্দ্র বসু [২]
- যে বাঙালি হিন্দু-মুসলমান একই জল মাটিতে বর্ধিত ও একই সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী, উহাদিগকে বিভিন্ন করিবার চেষ্টা গুরুতর অপরাধ।
- শরৎচন্দ্র বসু। ৪ ফেব্রয়ারি,১৯৩৯ জলপাইগুড়ি।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় শরৎচন্দ্র বসু সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।