কারাগার (ওয়েব ধারাবাহিক)
কারাগার সৈয়দ আহমেদ শাওকী পরিচালিত একটি বাংলা রোমাঞ্চকর ওয়েব ধারাবাহিক। ভারতীয় বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট থেকে এটির স্ট্রিমিং শুরু হয়। ২০২১ সালে হইচই তাদের আসন্ন নতুন পাঁচটি ওয়েব সিরিজ ঘোষণা করে, কারাগার সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের পটভূমিতে নির্মিত এই ধারাবাহিকটিতে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতুল্লাহ, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, এ কে আজাদ সেতু। এটি তাকদীরের পর শাওকী ও চঞ্চল জুটির দ্বিতীয় ওয়েব ধারাবাহিক।
পর্ব ১: রেজারেকশন (পুনরুত্থান)
[সম্পাদনা]ফাঁসির মঞ্চে
[সম্পাদনা]মহব্বত আলী: জালাল, এইডা (গলায় ফাঁস দেওয়ার দড়ি) আমার বালিশের নিচে রাখবি। এই, মোম কই? অহ, দড়িতে মোম লাগা। ফাঁসির দড়িতে মোম লাগে ক্যান? হুম? মোম ক্যান লাগায়? ফাঁসির দড়ি মাক্করের মতন তেলতেলা না হইলে গলার চামড়া কাইট্টা রক্তারক্তি হয়ে যাইতে পারে–মাথাটা খুইলাও পইড়া যাইতে পারে। মইরা যখন যাইবো এত কষ্ট দিয়া কি লাভ!
আকাশনগর কেন্দ্রীয় কারাগারে
[সম্পাদনা]হুমায়ুন কবীর: মোস্তাক সাহেব, আমরা কি হোটেল চালাচ্ছি? আপনি রিসিপশনিস্ট আর আমি হোটেলের ম্যানেজার? কি? কথা বলেন না ক্যান? অ্যাম আই রানিং অ্যা ব্রোথেল??
পর্ব ২: ব্ল্যাক শিপ (কুলাঙ্গার)
[সম্পাদনা]মাজারের সামনে
[সম্পাদনা]কারাগারের এক কর্মচারী: (আরেক কর্মচারীকে উদ্দেশ্য করে) ভাই আপনারা কালকে বললেন তিনি (রহস্যময় কয়েদি) জ্বীন-ভূত, আজকে তারে জ্যান্ত বানায়া ফেললেন। ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না?
পর্ব ৩: লাইফ অ্যান্ড ডেথ (জীবন ও মৃত্যু)
[সম্পাদনা]ফাঁসির মঞ্চে
[সম্পাদনা]মহব্বত আলী: (রহস্যময় কয়েদি সম্পর্কে) মানুষ চিনতে হয় তার নিয়ত দিয়া। আমি তার চোখে নেক নিয়ত দেখসি। এটা সব মানুষের থাকেনা। কিন্তু যার থাকে সে নিজের তকদির নিজেই গড়ে। দুনিয়ার কোন শক্তি তারে ঠেকায়া রাখতে পারেনা।
পর্ব ৪: হিস্ট্রি অ্যান্ড মিস্ট্রি (ইতিহাস ও রহস্য)
[সম্পাদনা]কারাগারের দপ্তরে
[সম্পাদনা]মোস্তাক আহমেদ: (তার অধীনস্থদের উদ্দেশ্য করে) আপনাদের পরিচিত কেউ আছে যে আড়াইশো বছর ধরে বেঁচে আছে? তাহলে এই লোক আড়াইশো বছর বেঁচে আছে কিভাবে? আপনারা বাবা-বাবা করে হুমড়ি খেয়ে পড়তেসেন। মানে এইটা কি? জেল না মাজার?
প্রশ্ন করার সময়
[সম্পাদনা]রহস্যময় কয়েদি: (ইশারা ভাষায়) একজন মানুষের জীবন কতদিন থাকবে তা কেউ জানেনা। আপনারা কেন? আমি নিজেও বিশ্বাস করিনা আমি এতদিন ধরে কারাগারে বন্দি আছি, বেঁচে আছি। উনি (মোস্তাক আহমেদ) জানেন এই কারাগারেও অনেক কয়েদি নিজের দোষে দোষী না অন্যের দোষে এখানে আছে। কেউ আসে নিজের দোষে, কেউ আসে অন্যের দোষে। অনেকে আসতে চায় না, আবার অনেকে এসে যেতে চায় না। কেউ আসে নিজে মরতে, আবার কেউ আসে অন্যকে মারতে।
পর্ব ৫: লাইট অ্যান্ড শ্যাডো (আলো ও ছায়া)
[সম্পাদনা]কয়েদিদের খেলার সময়
[সম্পাদনা]কয়েদিদের নেতা: হ। আমাগো বাপ-মা নাই। যার কাছে সুখ দুঃখের কথা কমু নাই। যার বুকে মাথা ঘুমানো যায় নাই। মনের দুঃখের কথা কার কাছে কমু? এই কেস আমি কোন আদালতে করুম? আছে। আছে একজন। গাজী পীর।
পর্ব ৬: স্প্রিট অ্যান্ড ঘোস্টস (আত্মা ও ভূত)
[সম্পাদনা]রহস্যময় কয়েদির সেলে
[সম্পাদনা]মহব্বত আলী: অপেক্ষা? দুনিয়ার বেবাক মানুষ কোন না কোন কিছুর আশায় বইসা আছে, অপেক্ষা করতেছে। কয়েদিরা বাইর হওনের অপেক্ষায়, জল্লাদ ফাঁস দেওনের। (হাসি) কেউ অপেক্ষা করে মারণের কেউ মরণের। (হাসি) আহ, অপেক্ষার কত রং, কত ঢং!
পর্ব ৭: লস্ট শিপ (হারানো জাহাজ)
[সম্পাদনা]বড় জল্লাদের শিষ্যদের সেলে
[সম্পাদনা]মহব্বতের এক শিষ্য: এই জেলে আমাদের শরীরটা বন্দি কইরা রাখসে। রূহু, ওরে বন্দি করে রাখার সাধ্য কারো নাই।
চরিত্র
[সম্পাদনা]- রহস্যময় বন্দী ওরফে ডেভিড চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
- কারা প্রধান মোস্তাক আহমেদ চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার
- মোস্তাকের স্ত্রী পান্না চরিত্রে বিজরী বরকতুল্লাহ
- মোস্তাক ও পান্নার ছেলে সজীবের চরিত্রে পার্থ শেখ
- প্রধান জল্লাদ মহব্বত আলী চরিত্রে আফজাল হোসেন
- কারাগারের আইজি হুমায়ুন কবিরের চরিত্রে জাহিদ হাসান শোভন
- কারাগার কর্মকর্তা খায়ের চরিত্রে এ কে আজাদ সেতু
- মাহা চরিত্রে তাসনিয়া ফারিণ
- পুলিশ কর্মকর্তা ও মোস্তাকের বন্ধু আশফাকের চরিত্রে এফএস নাঈম
- ফাদার আলফ্রেড চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদ
- গুলজার নামক একজন বন্দীর চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়