ভারত
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/41/Flag_of_India.svg/220px-Flag_of_India.svg.png)
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভুটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মায়ানমার অবস্থিত। এছাড়া ভারত মহাসাগরে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া ভারতের নিকটবর্তী কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্র। দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূলরেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলোমিটার (৪,৬৭১ মাইল)।
সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল বিশালাকার একাধিক সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।
উক্তি
[সম্পাদনা]- হে বীর, সাহস অবলম্বন কর, সদর্পে বল-আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই, বল, মূখ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই; তুমিও কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হইয়া, সদর্পে ডাকিয়া বল—ভারতবাসী আমার ভাই, ভারতবাসী আমার প্রাণ, ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর, ভারতের সমাজ আমার শিশুশয্যা, আমার যৌবনের উপবন, আমার বাৰ্দ্ধক্যের বারাণসী; বল ভাই, ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বৰ্গ, ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ, আর বল দিন রাত, "হে গৌরীনাথ, হে জগদম্বে, আমায় মনুষ্যত্ব দাও, মা, আমার দুৰ্বলতা কাপুরুষতা দূর কর।”
- স্বামী বিবেকানন্দ, বর্ত্তমান ভারত- স্বামী বিবেকানন্দ, প্রকাশক- উদ্বোধন কার্য্যালয়, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩১২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৬৫-৬৬
- ভারতে এটাও লক্ষণীয় যে, সমস্ত ভারতীয়রাই স্বাধীন, এবং কোনও ভারতীয়ই দাস নয়। এতে ভারতীয়রা লেসেডেমোনীয়দের সাথে একমত। তবুও লেসেডেমোনিয়ানদের দাসদের জন্য হেলট আছে, যারা দাসদের দায়িত্ব পালন করে; কিন্তু ভারতীয়দের কোন দাস নেই, কোন ভারতীয় দাস নয়।
- আরিয়ান, অ্যানাবাসিস আলেকজান্দ্রি, বই ৭ম খন্ড: ইন্ডিকা, এডগার ইলিফ রবসন (১৯২৯), পৃ. ৩৩৫।
- যুগের ভারত মৃত নয় এবং এটির সৃজনশীলতা শেষ হয়ে যায়নি; এটি বেঁচে আছে এবং এখনও নিজের এবং মানুষের জন্য কিছু করার আছে।
- শ্রী অরবিন্দ, মাসিক আর্যের শেষ সংখ্যায়: একটি দার্শনিক পর্যালোচনা (জানুয়ারি ১৯২১), যেমনটি দ্য মডার্ন রিভিউ (১৯২১), ২৯তম খন্ড পৃ. ৬২৬ এ উদ্ধৃত হয়েছে।
- ভারতবর্ষ নামে পরিচিত ভূখণ্ডে, যেমন ইলাবর্ত-বর্ষে, সেখানে অনেকগুলি পর্বত এবং নদী রয়েছে... ভারতবর্ষের বাসিন্দারা শুদ্ধ, কারণ তারা এই নদীগুলিকে সর্বদা স্মরণ করে।
- ভাগবত পুরাণ
- যে যুগে ভারতে সত্যিকারের ইতিহাস আবির্ভূত হয়েছিল সেই যুগটি ছিল এক মহান বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিক উদ্দীপনা। গঙ্গা উপত্যকায় সব ধরনের রহস্যবাদী এবং সুফিবাদীরা ঘুরে বেড়াত, সকলেই মোক্ষের উপায় হিসাবে মানসিক শৃঙ্খলা এবং তপস্যার কোনো না কোনো ধরনকে সমর্থন করত; কিন্তু বুদ্ধের যুগ, যখন অনেক শ্রেষ্ঠ মনের মানুষ তপস্বী জীবনের জন্য তাদের ঘরবাড়ি ও পেশা ত্যাগ করছিলেন, সেই সময়টাও ছিল বাণিজ্য ও রাজনীতিতে অগ্রসর হওয়ার সময়। এটি কেবল দার্শনিক এবং তপস্বীই নয়, বণিক রাজপুত্র এবং কর্মরত ব্যক্তিদেরও জন্ম দিয়েছে।
- দ্য ওয়ান্ডার দ্যাট ইজ ইন্ডিয়া (১৯৫৪) এ এএল বাশাম
- অবশ্যই আমাদের একটি দল ভারতের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে। এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মরিয়ম কে সিরিয়ায় (শাম) পাবে।
- আবু হুরাইরার সূত্রে মুহাম্মাদ, সুনানে নাসায়ি।
- আমার স্বপ্ন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন। আপনার প্রভায় গৌরবান্বিত সমুজ্জল ভারতের স্বপ্ন। আমি চাই—এই ভারতে স্বাধীন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হউক, তাহার সৈন্য, তার নৌবল, তার বিমানপোত, তাহার সমস্তই স্বাধীন হউক। আমি চাই পৃথিবীর স্বাধীন দেশ সমূহে স্বাধীন ভারতের দূত প্রেরিত হউক।
- নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ - নেতাজীর জীবনী ও বাণী (১৯৪৫), স্বাধীন ভারত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/80/Wikipedia-logo-v2.svg/40px-Wikipedia-logo-v2.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/dd/Wikivoyage-Logo-v3-icon.svg/40px-Wikivoyage-Logo-v3-icon.svg.png)