রসায়ন

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে

রসায়ন পদার্থের উপাদান, কাঠামো, ধর্ম ও পারস্পরিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞান।রসায়নবিদেরা মনে করেন বিশ্বের যাবতীয় বস্তু পরমাণু দিয়ে গঠিত। দুই বা ততোধিক পরমাণু রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ হয়ে অণুর সৃষ্টি করে। এক বা একাধিক ইলেকট্রন পরমাণু বা অণু থেকে সরিয়ে নিলে বা যোগ করলে আধানযুক্ত কণা তথা আয়ন সৃষ্টি হয়।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • এক কুল ভাঙ্গে নদী, অন্য কুল গড়ে;
    দূষিত বায়ুরে লয় উড়াইয়া ঝড়ে;
    তীব্র কালকূটে হয় শুদ্ধ রসায়ন;
    কাক করে কোকিলের সন্তান-পালন;
  • ঋষিকল্প মহাপুরুষ অধ্যাপক প্রফুল্লচন্দ্র রায় বিজ্ঞানের গবেষণায় জগদ্বিখ্যাত হইয়াছেন। রসায়ন জগতে তাহার দান অমূল্য একথা সুধীগণ সকলেই স্বীকার করিয়া থাকেন। প্রফুল্লচন্দ্রের প্রণীত “হিন্দু রসায়নের ইতিহাস” রসায়ন শাস্ত্র সম্বন্ধে যুগান্তর উপস্থিত করিয়াছে। হিন্দু আয়ুর্ব্বেদ, চরক, সুশ্রুত, বাগভট, বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, ইতিহাস, কাব্য, দর্শন প্রভৃতি মন্থন করিয়া তিনি এই অভিনব গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন।
  • রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়, এক সময়ে এক দল লোক পরশ-পাথয়ের খোঁজে ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। তখন আধুনিক রসায়নী বিদ্যার ভিত্তিও প্রোথিত হয় নাই। এই সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ছিল, পৃথিবীতে নিশ্চয়ই এমন একটা বস্তুর অস্তিত্ব আছে, যাহার স্পর্শে লৌহ প্রভৃতি ইতর ধাতুকে সুবর্ণে পরিণত করিতে পারা যায়। কোথা হইতে এই বিশ্বাস তাঁহারা পাইয়াছিলেন, তাহার খোঁজ পাওয়া যায় না।
  • সাধারণে যেসব বিষয়ের জন্য বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করে তার অধিকাংশ স্বাস্থ্যবিষয়ক, কিন্তু জ্যোতিষ পদার্থবিদ্যা রসায়ন জীববিদ্যা প্রভৃতি সম্বন্ধেও অনেকের কৌতূহল দেখা যায়।
  • চিকিৎসায় পারদর্শী হইতে গেলে যেসব বিদ্যা জানা দরকার, যথা আধুনিক শারীরবৃত্ত, উদ্ভিদবিদ্যা, রসায়ন, জীবাণুবিদ্যা ইত্যাদি, তাহার কিছুই জান না। মুখে যতই আস্ফালন কর ভিতরে ভিতরে তোমাদের আত্মনির্ভরতায় শোষ ধরিয়াছে, তাই লুকাইয়া কুইনীন চালাও।
    • রাজশেখর বসু - লঘুগুরু প্রবন্ধাবলী, ডাক্তারি ও কবিরাজি ১৯৩৯ (পৃ. ৮-২৭)।
  • রসায়নবিদগণও প্রাচীন পুঁথির পাতা উল্টাইয়া মৃত্তিকা, জল, বায়ু ও অগ্নি কি কারণে মূলপদার্থ হইয়া দাঁড়াইল, তাহার অনুসন্ধান আরম্ভ করিয়াছিলেন। বীক্ষাণাগারেও দেশবিদেশে মহাপণ্ডিতগণ পরীক্ষা সুরু করিয়া দিয়াছিলেন। অল্পদিনের মধ্যে স্থির হইয়া গেল, জলবায়ু বা অগ্নিমৃত্তিকার কোনটিও মূলপদার্থ নয়। অক্সিজেন, হাইড্রোজেন প্রভৃতি কয়েকটি বায়ব পদার্থ এবং গন্ধক, তাম্র, লৌহ, স্বর্ণ, রৌপ্য, পারদ প্রভৃতি কয়েকটি তরল ও কঠিন পদার্থ সৃষ্টির মূল উপাদান। ইহার পরে অণু-পরমাণুর অস্তিত্বের প্রমাণ- প্রয়োগ করিয়া কি প্রকারে আধুনিক রসায়ন শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল।
  • লোক মিথ্যা মিথ্যা আপনার মনে মনে ভব ও নির্ব্বাণ রচনা করিয়া আপনাকে বদ্ধ করিতেছে। আমরা কিন্তু অচিন্ত্য যোগী, আমরা জানি না, জন্ম-মরণ এবং ভব কিরূপ হয়। জন্মও যেমন, মরণও তেমনি, জীবন ও মরণে কিছুমাত্র বিশেষ নাই, এ ভবে যাহার জন্ম ও মরণের শঙ্কা আছে, সেই রস ও রসায়নের চেষ্টা করুক।
    • হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) - সম্পাদনা করেছেন, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (পৃ. ১-১৯)।
  • রসায়নবিদ্যা, জ্যামিতি বা জ্যোতির্বিদ্যার মতো আদিম বিজ্ঞান নয়; এটি একটি পূর্ববর্তী বৈজ্ঞানিক গঠনের ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মিত হয়েছে; কোনো একটি গঠন অর্ধেক রাসায়নিক এবং অর্ধেক ধনাত্মক, এটি নিজেই ধাতববিদ্যা, ঔষধ, শিল্প এবং দেশীয় অর্থনীতির ব্যবহারিক আবিষ্কারের দ্বারা ধীরে ধীরে সঞ্চিত জ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত।
  • রসায়নের সাথে আলকেমিকে গুলিয়ে ফেলা একটি ভুল। আধুনিক রসায়ন একটি বিজ্ঞান যা কেবলমাত্র বাহ্যিক রূপগুলোর সাথে সম্পর্কিত, যেখানে পদার্থের উপাদানটি নিজেকে প্রকাশ করছে। এটি কখনই নতুন কিছু তৈরি করে না। আমরা দুই বা ততোধিক রাসায়নিক পদার্থকে সীমাহীন সংখ্যক বার মিশ্রিত, যৌগিক এবং পচিয়ে দিতে পারি এবং তাদের বিভিন্ন আকারে প্রদর্শিত করতে পারি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের কাছে পদার্থের কোনো বৃদ্ধি হবে না, বা পদার্থের সংমিশ্রণ ছাড়া আর কিছু থাকবে না।
  • রাসায়নিক ঐতিহ্য অনুমান করে যে প্রতিটি ভৌত শিল্প বা বিজ্ঞান হল জ্ঞানের একটি অংশ, যা বিদ্যমান শুধুমাত্র কারণ এটি অদৃশ্য শক্তি এবং প্রক্রিয়া দ্বারা আবদ্ধ। ভৌত রসায়ন, যেমন আধুনিক বিশ্বে চর্চা করা হয়, মূলত ঔষধশাস্ত্র বা শিল্প গবেষণা প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট। এটি একটি সর্বব্যাপী বস্তুবাদের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা শ্রমকে শারীরিক উদ্দেশ্যগুলির অগ্রগতির সাথে আবদ্ধ করে।
    • ম্যানলি পামার হল - (১৯৮৮) মেডিটেশন সিম্বলস ইন ইস্টার্ন অ্যান্ড ওয়েস্টার্ন মিস্টিসিজম।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]