কোকিল
অবয়ব
কোকিল বাংলার একটি সুপরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। কোকিল কুকুলিডি গোত্রের অন্তর্গত একদল পাখি। সারা পৃথিবীতে কোকিলের প্রায় ২৬টি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ কোকিল লম্বা ও সরু গঠনবিশিষ্ট, এদের সামান্য বাঁকানো ঠোঁট, লম্বা লেজ এবং দীর্ঘ ডানা রয়েছে। কোকিল পরের বাসায় ডিম পেড়ে চলে যায়, তাই এদের আরেক নাম পরভৃত। বাংলা ভাষায় কোকিল নিয়ে বেশ কিছু বাগধারা চালু আছে, যেমন কোকিলকণ্ঠী মানে হল মধুর গানের গলা বিশিষ্ট, আবার বসন্তের কোকিল মানে হল সুসময়ের বন্ধু।
উক্তি
[সম্পাদনা]- তুমি বসন্তের কোকিল, বেশ লোক। যখন ফুল ফুটে, দক্ষিণ বাতাস বহে, এ সংসার সুখের স্পর্শে শিহরিয়া উঠে, তখন তুমি আসিয়া রসিকতা আরম্ভ কর। আর যখন দারুণ শীতে জীবলোকে থরহরি কম্প লাগে, তখন কোথায় থাক, বাপু? যখন শ্রাবণের ধারায় আমার চালাঘরে নদী বহে, যখন বৃষ্টির চোটে কাক চিল ভিজিয়া গোময় হয়, তখন তোমার মাজা মাজা কালো কালো দুলালি ধরণের শরীরখানি কোথায় থাকে? তুমি বসন্তের কোকিল, শীত বর্ষার কেহ নও।
- বসন্ত অন্তে কি কোকিলা গায়
পল্লববসনাশাখাসদনে?
নীরবে নিবিড় নীড়ে সে যায়—
বাঁশী ধ্বনি আজি নিকুঞ্জ বনে?
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিপিডিয়ায় কোকিল সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে কোকিল শব্দটি খুঁজুন।