বিষয়বস্তুতে চলুন

বাবুই

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
বাবুই কোথা বাসা বোনে—
চাতক বারি যাচে রে?
সে আমাদের বাংলা দেশ,
আমাদেরি বাংলা রে!—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

বাবুই প্লোসিডি গোত্রের অন্তর্গত চড়ুইসদৃশ পাখি। চমৎকার বুনটের ঝুড়ির মতো বাসা তৈরির জন্য পাখিটি সুপরিচিত। এজন্য বাবুই পাখিকে অনেকে তাঁতি পাখিও বলে। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতি খুব সুন্দর। কয়েক প্রজাতির বাবুই একাধিক কক্ষবিশিষ্ট বাসা তৈরি করতে পারে। এরা দলবদ্ধভবে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসির মতো। বাসা বানাবার জন্য বাবুইকে খুব পরিশ্রম করতে হয়। অনেকে বলেন, রাতে বাসায় আলো জ্বালার জন্য বাবুই জোনাকী পোকা ধরে এনে গুঁজে রাখে।

উক্তি

[সম্পাদনা]
  • বাবুই পাখীরে ডাকি’ বলিছে চড়াই,—
    “কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই?
    আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
    তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে!”
    বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তায়!
    কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
    পাকা হোক্‌, তবু ভাই, পরের ও-বাসা;
    নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর—খাসা!"
    • স্বাধীনতার সুখ - রজনীকান্ত সেন, অমৃত, প্রকাশক- অমিয়রঞ্জন মুখােপাধ্যায়, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৬
  • বুদ্ধুর বাপের ক্ষেতে ধান পেকেছে, আর দলে-দলে বাবুই এসে সেই ধান খেয়ে ফেলছে। বুদ্ধর বাপ ঠকঠকি বানিয়ে তাই দিয়ে বাবুই তাড়াতে যায়। কিন্তু ঠকঠকির শব্দ শুনেও বাবুই পালায় না। তখন সে রেগেমেগে বললে, ‘বেটারা! এবার যদি ধরতে পারি, তাহলে ইঁড়ি-মিড়ি-কিঁড়ি-বাঁধন দেখিয়ে দেব!’
    • উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বুদ্ধুর বাপ, টুনটুনির বই- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, প্রকাশক- দেব সাহিত্য কুটীর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৭১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭৬
  • বাবুই কোথা বাসা বোনে—
    চাতক বারি যাচে রে?
    সে আমাদের বাংলা দেশ,
    আমাদেরি বাংলা রে!
    • কোন দেশে - সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কাব্য-সঞ্চয়ন, প্রকাশক- এম. সি. সরকার এন্ড সন্স লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, পৃষ্ঠা ৩
  • বাবুই পাখির বাসা তোমরা অনেকেই দেখেছ বোধ হয়। কেমন সন্দর করে শুকনো ঘাস দিয়ে বুনে তার বাসাটি সে তৈরি করে। পাছে কোনো জন্ত বা সাপ বাসা আক্রমণ করে, সেইজন্য বাসায় ঢুকবার রাস্তা তলার দিকে। শত্রুকে জব্দ করবার আর-একটা উপায় তারা করেছে—অনেক সময় বাসার গায়ে আর-একটা গর্তের মতো মুখ তৈরি করে রাখে, সেটা কেবল ঠকাবারই জন্যে, তার ভিতর দিয়ে বাসার মধ্যে ঢোকা যায় না।
    • সুকুমার রায়, পাখির বাসা, সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, সম্পাদনা- পুণ্যলতা চক্রবর্তী ও কল্যাণী কার্লেকর, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩২৩

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]