শালিক

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
কিচিমিচি করে সেথা
শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে
শেয়ালের হাঁক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শালিক স্টার্নিডি গোত্রের অন্তর্গত একদল ছোট ও মাঝারি আকারের পাখি। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং বিষুবীয় অঞ্চলের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে শালিক দেখা যায়। শালিক বেশ কয়েক ধরনের হয় যেমন, গো-শালিক, ভাত শালিক, গাঙশালিক, বামন-শালিক ইত্যাদি। শালিকের স্বরতন্ত্রী বেশ জটিল হওয়ায় এদের ডাক বিচিত্র ও বিভিন্ন স্বরে ওঠানামা করে। গায়ক পাখি হিসেবে শালিকের সুনাম রয়েছে। তবে কাঠ-শালিক সবচাইতে ভালো গাইতে পারে। শালিক সমাজিক পাখি। এরা দলবেঁধে ঘোরে।

উক্তি[সম্পাদনা]

  • কিচিমিচি করে সেথা
    শালিকের ঝাঁক,
    রাতে ওঠে থেকে থেকে
    শেয়ালের হাঁক।
    • ছােটো নদী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চিত্রবিচিত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ (১৩৯৮ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৭
  • জড়সড় দেহ মোর,—বড় শীত ভাই,
    রোদ-ছাওয়া দাওয়াটায় বসি এসে তাই;
    দুরে দেখি ফাঁকা মাঠে আলো ঝলমল,
    শালিখের ঝাঁক সেথা করে কোলাহল।
    • শীতের সকাল - সুনির্মল বসু, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা- সুনির্মল বসু, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৭১
  • পাঠশালাটি
    দোকান-ঘরে,
    গুরু মশাই
    দোকান করে!

পোড়ো ভিটের
পোতার পরে
শালিক নাচে,
ছাগল চরে।

  • কোথাও নিবিড় আখের বনে
    শালিক চরিছে আপন-মনে॥

কোথাও ধূধূ করে বালুচর,
সেথায় গাঙশালিকের ঘর।

    • নদী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শিশু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ (১৪২৬ বঙ্গাব্দ),পৃষ্ঠা ৯০
  • আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
    হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙখচিল শালিকের বেশে,
    হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে
    কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
    • রূপসী বাংলা - জীবনানন্দ দাশ, প্রকাশক- সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]